যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ইংল্যান্ডে ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার নামে একটি ভাইরাল অসুস্থতার নিশ্চিত কেস পেয়েছেন।
লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারী সম্প্রতি মধ্য এশিয়ায় ভ্রমণ করেছিলেন, যেখানে টিক নামের এক প্রকার ক্ষুদ্র পরজীবীবাহিত রোগের মহামারি চলছে।
রোগটি মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না, মানে জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি খুবই কম, বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এটি যুক্তরাজ্যের পরজীবী দ্বারা বাহিত হয় না।
এই নিয়ে যুক্তরাজ্যে তৃতীয়বার এই রোগ সনাক্ত হয়েছে। এর আগে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে রিপোর্ট করা হয়েছিল। কোনো ব্যক্তি বা প্রাণির সংক্রামিত রক্ত বা টিস্যুর সংস্পর্শে এ রোগ ছড়াতে পারে।
এই রোগের লক্ষণগুলো খুব দ্রুত বিকাশ লাভ করে। সংক্রমণের কয়েক দিন পরে জ্বর, ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি এবং ত্বকে রক্তপাতের কারণে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। রোগীরা বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতির কারণে গুরুতর অসুস্থ হতে পারে, যা মারাত্মক হতে পারে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ডা. সুসান হপকিন্স বলেছেন, হাসপাতালে রোগীর যত্ন নেওয়া হচ্ছে সেখানে শক্তিশালী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ করা হচ্ছে।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হসপিটালস এনএইচএস ফাউন্ডেশনে ওই নারীর রোগ নির্ণয়ের পর তাকে রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রয়্যাল ফ্রি লন্ডনের সংক্রামক রোগের পরামর্শদাতা ডা, স্যার মাইকেল জ্যাকবস বলেছেন: “রয়্যাল ফ্রি হাসপাতাল ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমোরেজিক জ্বরের মতো ভাইরাল সংক্রমণের রোগীদের চিকিত্সার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কেন্দ্র।
২৭ মার্চ ২০২২
সূত্র: বিবিসি
এনএইচ