গবেষণা অনুসারে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ফৌজদারি বিচারের ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় প্রবর্তন আংশিকভাবে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর প্রভাবকে হ্রাস করছে। যা জুরি সিস্টেমে শ্রমজীবী শ্রেণীর প্রভাবকে হ্রাস করার মতো ঘটনার সৃষ্টি করছে।
জাস্টিস চ্যারেটি আপিলের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালে সংসদ কর্তৃক প্রবর্তিত সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় দেওয়ার বিধান প্রবর্তন হয় জুরি বোর্ডের দুর্নীতি রোধ করার কথা চিন্তা করে। তবে সেখানে আরো একটি কারণের কথা উল্লেখ করা হয় যা আরও বিতর্কিত ছিল।
বিচারক মন্ত্রনালয় (এমওজে)’র তথ্য অনুসারে, কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান, ‘মিশ্র’ বা ‘চীনা এবং অন্যান্য’ পটভূমির লোকেরা ২০১৯ সালে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আসামীদের প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে জুড়িবোর্ডে প্রতিনিধিত্ব শুরু করেন।
এমওজে এই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলিকে ব্ল্যাক, এশিয়ান, মাইনোরিটি, এথনিক শব্দগুলো হতে “বিএএমই” নামে শ্রেণিবদ্ধ করে।
সরকারী ফাইল ঘেটে রেস অ্যান্ড ক্লাস জার্নালে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের লেখকরা খুব কম সংখ্যক দূর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিলেন। তবে “বিভিন্ন জাতি এবং শ্রেণীর পটভূমি থেকে জুরিদের সংখ্যা বৃদ্ধি জুরি বোর্ডের দক্ষতা হ্রাস করে বলে তারা মত দেন। তবে জুড়িবোর্ডে নানা শ্রেণি ও বর্ণের মধ্যে “বিএএমই” অন্তর্ভুক্তকরণ উদ্বেগের প্রতিফলন ঘটায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রাউন কোর্টের বিচারের পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় বার্ষিক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য প্রায় ১৫% ছিল। যার অর্থ প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় যেখানে কমপক্ষে একজন জুরি অপরাধীদের অপরাধ সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন না। কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠ না হওয়ায় নৃগোষ্ঠীর মত রায়ে প্রাধান্য পায় না বলে জানা যায়।
হাউস অফ কমন্সে, এমপিরা জুড়িবোর্ড নিয়ে তাদের মন্তব্য করতে গিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেন। তারা “মধ্যবিত্ত ও মধ্য-মস্তিষ্কের জুরি” দ্বারা ভালো বিচার ব্যবস্থা সৃষ্টি করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন।
এম.কে
২৪ জানুয়ারি ২০২৪