জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে রুয়ান্ডা বিলের উপর আনা আইন বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছ। তবে যুক্তরাজ্যের সরকারী সূত্রগুলি জাতিসংঘের রুয়ান্ডা নিয়ে আচরণকে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বলে অভিযুক্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আশা করছেন এই বসন্তে রুয়ান্ডায় আশ্রয় প্রার্থীদের পাঠানো সম্ভব হবে। যদিও আইনটি এখনও সংসদে পাশ হয় নাই।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি (ইউএনএইচআরসি) যুক্তরাজ্য সরকারকে রুয়ান্ডা প্রকল্পটি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে। তাছাড়া ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ছোট নৌকা রুখে দেয়ার যুক্তরাজ্যের পরিকল্পনা নতুনভাবে বিবেচনা করতে বলেছে কমিটি।
তবে যুক্তরাজ্যের সূত্রগুলি জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড” হিসাবে অভিযুক্ত করার কারণ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যে রুয়ান্ডায় শরণার্থীদের প্রেরণ করেছে বলে খবরে জানা যায়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিটি ইংল্যান্ডে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের সাথে বৈষম্যমূলক আইনী উদ্যোগ প্রবর্তন সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন আইন ২০২৩ আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী এবং অভিবাসীদের অধিকারকে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্যানেল ।
কমিটি জানায় এই আইনটি যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে আগত লোকদের যুক্তরাজ্যে থাকতে সক্ষম হতে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা বলেছে রুয়ান্ডা পরিকল্পনা এবং রুয়ান্ডা (আশ্রয় ও অভিবাসন) বিলের সুরক্ষা করতে বর্তমান যুক্তরাজ্য সরকার যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের রায়কেও আমলে নিচ্ছে না যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
স্বরাষ্ট্রসচিব জেমস ক্লেভারলির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, “ জাতিসংঘের দ্বৈত মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কারণ জাতিসংঘের একটি কমিটি যেখানে রুয়ান্ডাকে নিরাপদ দেশ হিসাবে গ্রহণ করছে না, অন্যদিকে জাতিসংঘ আবার রুয়ান্ডাকে তৃতীয় দেশ হিসাবে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ব্যবহার করেছে।
ইউএন শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, লিবিয়া থেকে রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিল, যদিও তা ছিল একটি অস্থায়ী এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রকল্প।
উল্লেখ্য যে, রুয়ান্ডা বিল যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডস হতে হাউস অব কমন্সে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া হাউস অব লর্ডসের পক্ষ হতে দেয়া বিভিন্ন নোট আমলে নিতে অপারগতা প্রকাশ করে হাউস অব কমন্স।
সূত্রঃ দ্য স্ট্যান্ডার্ড
এম.কে
২৯ মার্চ ২০২৪