ক্যান্টারবারির আর্চবিশপের মতে, যুক্তরাজ্যের আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর জন্য বরিস জনসনের পরিকল্পনা “ঈশ্বরের বিচারের সঙ্গে মেলে না”।
চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান জাস্টিন ওয়েলবি ইস্টারের ধর্মোপদেশে বলেন, যেখানে তারা আশ্রয় চেয়েছিলেন সেখান থেকে ৪ হাজার মাইল দূরে পাঠিয়ে বিতাড়িত করা এবং দায়িত্ব এড়ানোর নীতি “ঈশ্বরের প্রকৃতির বিপরীত।
গত সপ্তাহে কিগালিতে স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল ঘোষিত পরিকল্পনার বৈধতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান প্রশ্ন উঠে চলেছে। এরইমধ্যে এই নীতির বিরোধীতা করলেন জাস্টিন ওয়েলবি। যুক্তরাজ্যের অ্যাসাইলামপ্রার্থীদের একটি মধ্য আফ্রিকান রাষ্ট্রের ‘ওয়ান-ওয়ে’ টিকিট দেওয়া হবে এবং অবজার্ভার জানায়, এই বিতাড়িতদের মধ্যে শিশুরাও থাকতে পারে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে আসা সঙ্গীহীন শিশুদের একটি বড় অংশ হোম অফিসের কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। শরণার্থী আইন বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল সোহেগে, যিনি শিশু পাচারবিরোধী দাতব্যসংস্থায় কাজ করেন, বলেছেন যে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ২২ বা ২৩ বছর বয়স হিসাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “এর অর্থ হল রুয়ান্ডায় শিশুদের পাঠানোর একটি বড় সুযোগ রয়েছে এবং একবার তারা সেখানে গেলে আবার বয়সের মূল্যায়ন বা আপিল করতে পারবে না।”
রুয়ান্ডা চলমান প্রকল্পের অংশ হিসাবে ইউকে থেকে প্রাথমিক ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড পেয়েছে, তবে তারা ইউকে অপারেটিং ব্যয়ও কভার করবে। প্রতিটি অভিবাসী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থায়ন পাবেন। রুয়ান্ডায় ভ্রমণ এবং সেখানে থাকার প্রথম তিন মাসের জন্য ব্যক্তি প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার পাউন্ড খরচ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
শুক্রবার, ব্রিটেনের অভিবাসন মন্ত্রী টম পার্সগ্লোভ বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থ সাশ্রয় করবে।
অন্যদিকে, বেসামরিক কর্মচারীরা আইনগত এবং নৈতিক ভিত্তিতে নীতির বিরোধিতা করছেন এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন।
দ্য গার্ডিয়ানে বলা হয়, রুয়ান্ডায় যাদের পাঠানো হবে তাদের তাদের যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই। যদিও বিভ্রান্তিকর মিডিয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আশ্রয়ের দাবি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় কেবল তাদের সেখানে রাখা হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২২
এনএইচ