যুক্তরাজ্যের সমস্ত পাব এবং রেস্তোরাঁ লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ খুলবে তারো কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লকডাউনে পাব এবং রেস্তরাঁর বিক্রি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এদিকে অর্থ সংকটের কারণে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে পাব মালিকদের।
জনপ্রিয় পাব চেইন হারভেস্টার অ্যান্ড টোবি কারভেরির মালিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, লকডাউন থেকে বাঁচতে নগদ অর্থের প্রয়োজন, তা-না হলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হতে পারে।
পাব গ্রুপ মিচেলস অ্যান্ড বাটলারসের প্রতিনিধির বক্তব্য, বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়েছে কারণ বর্তমান লকডাউন কত দিন স্থায়ী হবে তা স্পষ্ট নয়।
তিনি আরো বলেন, কোনো সাইটের বাণিজ্য নেই বললেও চলে। তাই পাব এবং রেস্তোঁরার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। এই লকডাউনে টিকে থাকতে পারবে তো? নাকি বন্ধ করে দিতে হবে তাদের ব্যবসা।
প্রতি মাসে ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত হারাতে হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানকে।
অর্থসংস্থানকারী সংস্থাগুলোও ঝুঁকিতে পড়েছে। সিটি ওয়াচডগ সতর্ক করেছে, প্রায় চার হাজার অর্থসংস্থানকারী প্রতিষ্ঠান করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার আগেই ঝুঁকিতে ছিলো।
ফিনান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি (এফসিএ) জানিয়েছেন, সমীক্ষায় দেখা গেছে অক্টোবরের শেষে দিকে ছোট থেকে মাঝারি ব্যবসাগুলোর প্রায় ১৭ শতাংশ বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
যুক্তরাজ্যে নতুন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় লকডাউন দেয়া হয়েছে। সোমবার ( ৪ জানুয়ারি) রাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘোষণা দেন। লকডাউন চলাকালে অনুমোদিত কারণ ছাড়া সবার ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই লকডাউন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
৭ জানুয়ারি ২০২১
এসএফ/এনএইচ