3 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

শিশুকালে পাচার হয়ে গৃহকর্মীর জীবন কাটিয়েছেন স্যার মো ফারাহ

স্যার মো ফারাহকে শৈশবে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আনা হয়েছিল এবং গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল, নিজেই এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন এই অলিম্পিক স্টার।

 

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, যারা তাকে জিবুতি থেকে পাচার করেছিল তারা তাকে মোহাম্মদ ফারাহ নাম দিয়েছে। তার আসল নাম হুসেইন আবদি কাহিন।

 

তিনি বলেন, পূর্ব আফ্রিকার দেশটি থেকে নয় বছর বয়সে এক নারী তাকে নিয়ে যায়, যার সাথে আর কোনোদিন দেখা হয়নি তার। পাচারের পর তারপর তাকে আরেকটি পরিবারের বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য দেওয়া হয়।

 

টিম জিবি অ্যাথলিট বলেছেন, “বছর ধরে আমি এটিকে গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু সত্যটি সামনে চলে আসবেই।”

 

দূরপাল্লার এই দৌড়বিদ আগে বলেছিলেন যে তিনি শরণার্থী হিসাবে তার বাবা-মায়ের সাথে সোমালিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন।

 

কিন্তু বিবিসি এবং রেড বুল স্টুডিওর একটি ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয়েছে, তিনি বলেছেন যে তার বাবা-মা কখনোই যুক্তরাজ্যে যাননি – তার মা এবং দুই ভাই সোমালিল্যান্ডের বিচ্ছিন্ন রাজ্যে তাদের পারিবারিক খামারে বাস করেন।

 

স্যার মো ফারাহ যখন চার বছর বয়স সোমালিয়ায় বেসামরিক সহিংসতায় তার বাবা আবদি বিপথগামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। সোমালিল্যান্ড ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল কিন্তু তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়।

 

স্যার মো ফারাহ বলেছেন, তার বয়স ছিল প্রায় আট বা নয় বছর যখন তাকে জিবুতিতে পরিবারের সাথে থাকার জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরে তাকে এমন একজন নারীর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যার সাথে সে কখনও দেখা করেনি এবং তার সাথে সম্পর্ক ছিল না।

 

তিনি তাকে বলেছিলেন যে তাকে আত্মীয়দের সাথে থাকার জন্য ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওইসময় তিনি “উচ্ছ্বসিত” ছিলেন। “আমি আগে কখনো বিমানে চড়িনি,” তিনি বলেছেন।

 

ওই নারী তাকে তার নাম মোহাম্মদ বলতে বলেছিলেন। তার সাথে জাল ভ্রমণ নথি ছিল যাতে “মোহাম্মদ ফারাহ” নামের পাশে তার ছবি দেখানো হয়েছিল।

 

যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর তার আত্মীয়দের সঙ্গের যোগাযোগের সহায়ক কাগজ ছিড়ে ফেলেন সেই নারী। তখন তিনি বুঝতে পারেন বিপদের মধ্যে রয়েছেন। এরপর থেকে মুখে খাবার জোটানোর জন্য বাড়ির কাজ ও শিশুদের যত্ন নিতে হয়েছে তাকে। মুখ বুজে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। প্রায়ই নিজেকে বাথরুমে আটকে রেখে কাঁদতেন তিনি।

 

প্রথম কয়েক বছর তাকে স্কুলে যেতে দেয়নি পরিবারটি। তবে বার বছর বয়স থেকে তিনি স্কুলে যেতে শুরু করেন। স্টাফদের বলা হয়েছিল তিনি সোমালিয়া থেকে আসা একজন শরণার্থী। তখন ইংরেজিও বলতে পারতেন না, ফলে স্কুল ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

 

১২ জুলাই ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

রাশিয়া তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে পারে, প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মানি

যুক্তরাজ্যে কাউন্সিল ট্যাক্সের বিল ৫% পর্যন্ত বাড়তে যাচ্ছে

শামীমা বেগমের সাক্ষাৎকার নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা