ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার দিবাগত রাত (৫ অক্টোবর) ৩টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এরআগে, রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন ছেলে মাহী বি চৌধুরী। তিনি বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন।
গত বুধবার (২ অক্টোবর) বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আগে থেকেই তার বাবার ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ ছিল। বুধবার তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই অবস্থায় তাকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি হাসপাতালটির হেড অব কার্ডিওলজিস্ট অপর্ণা রহমান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মারুফ বিন হাবিব ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শায়লা চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে সাবেক এ রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর খবরে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যু পরবর্তী কার্যক্রম বিকল্পধারা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শনিবার সকালে জানানো হবে।
খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত ‘মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এ মহাসচিব ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।
০৪ অক্টোবর ২০২৪