হোম অফিসের ভুলের কারণে নেপিয়ার ব্যারাকে আটকে আছেন বহু আশ্রয়প্রার্থী। জানা যায় গত বছর সেপ্টেম্বরে তাদেরকে নেপিয়ার ব্যারাকে পুনর্বাসিত করে হোম অফিস। সেখানে জানুয়ারি মাসে একটি বড় কোভিড মহামারি দেখা দিয়েছিলো। এই কারণে জায়গাটি খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। তবে নতুন বাসিন্দারা ৯ এপ্রিল থেকে আবার সেখানে স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছে।
নেপিয়ারে আবাসনের আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোম অফিসের মানদণ্ড রয়েছে, যা বয়স, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন দিকে নজর রাখে। নেপিয়ার ব্যারাকে প্রায় ২৩৩ জন আশ্রয়প্রার্থী রয়েছেন এবং নিয়মিত নতুন লোকে সেখানে প্রবেশ করছেন।
ডাইমন পিয়ার্স গ্লেনের একজন আইনজীবী এমিলি সোথিল, যিনি ব্যারাক থেকে ২৫ জনকে স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, এই বাসিন্দারা নির্যাতনের শিকার, পাচারের শিকার, অবিবাহিত বা নাবালিকারা শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের এই ব্যারাকে রাখা উচিৎ না।
তিনি বলেন, কারো সাথেই এমন হওয়া উচিৎ নয়। এই দুর্বল লোকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা এবং তাদের উপযুক্ত বাসস্থান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। হোম অফিসের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আইনি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
কারাগার পরিদর্শক এবং সীমান্ত ও অভিবাসন বিভাগের চিফ ইন্সপেক্টর এবং জেল পরিদর্শনের (আইসিআইবিআই) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাসিন্দাদের সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা ব্যবস্থাগুলো অতটা কার্যকর না। সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল এবং অপর্যাপ্ত। স্বরাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, এটি খুবই উদ্বেগজনক।
আইসিআইবিআই এর একটি যৌথ পরিদর্শন শিবিরের মধ্যে দুর্বল লোকদের স্থাপনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তারা অনেকেই নির্যাতনের শিকার।
ক্যাম্পে হোম অফিস ইতোমধ্যে তাদের সাক্ষাত্কার নেওয়া শুরু করেছে। ক্যাম্পের বাসিন্দাদের এই বিষয়টি নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে কখনো কখনো বাসিন্দাদের কেবল কয়েক ঘণ্টার নোটিশে সাক্ষাত্কার নেওয়া হয় এবং তাদের সাক্ষাত্কারের আগে আইনী পরামর্শ নিতেও দেওয়া হয় না।
সূত্র: স্কাই নিউজ
২৫ মে ২০২১
এসএফ