যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পর এমপি পদ থেকে আরো দু’জন সদস্য সরে দাঁড়িয়েছেন। দু’দিনের ব্যবধানে তিন এমপি পদত্যাগ করায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের। যুক্ত হয়েছে বাড়তি চাপ। এখন তাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই তিন আসনে উপনির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
শুক্রবার হাউজ অব কমন্স থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক নেতা বরিস জনসন।
জনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, করোনা মহামারির লকডাউনের মধ্যেও জন্মদিনসহ অন্যান্য পার্টি করেছেন তিনি। এরপরও হাউজ অব কমন্সের সাথে মিথ্যাচার করেন তিনি। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্রিভিলিজেস কমিটি। তারা রিপোর্ট দেয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
জনসনের পর শনিবার এমপি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন নাদিন ডরিস এবং নাইজেল এডামস। তবে তাদের পদত্যাগের কারণ জানা যায়নি।
তিন এমপির পর যদি আরো কোনো এমপি পদত্যাগ করেন, তবে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ওপর চাপ আরো বাড়তে থাকবে। ইতোমধ্যেই বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ডেইসি কপার ও ইডি ডেভি নতুন সাধারণ নির্বাচন ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘কনজারভেটিভ পার্টি গলে গেছে এবং তাদের অবশ্যই সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘কয়েক বছর ধরে সরকার আমাদের স্বাস্থ্যখাত (এনএইচএস) ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই এই বিশৃঙ্খল কনজারভেটিভ সরকার নিয়ে সাধারণ মানুষকে সরাসরি মতামত দেয়ার সুযোগ দেয়ার সময় এসেছে।’
এম.কে
১২ জুন ২০২৩