জলবায়ু পরিবর্তন একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কর্মকাণ্ডের কারণে পরিবেশ ও জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফলে প্রাণী ও উদ্ভিদের অভূতপূর্ব ক্ষতি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এটিকে ‘মানবজাতির জন্য সতর্কবার্তা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বিজ্ঞানীরা ২০১৬ সালের মেরু অঞ্চলে হঠাৎ অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধান করে জানান, ৭৫ বছর আগে এ এলাকায় একটি বল্গা হরিণ অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এবং এর মৃতদেহ বরফে চাপা পড়ে। বরফে গলে যাওয়ার ফলে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
শুধু ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার ফলে প্রোটোজোয়া পরজীবীরও সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাজ্যের একটি নতুন গবেষণা হতে জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে মহামারী এবং চরম আবহাওয়ার মুখে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
এই গবেষণার মূল কারণ কঠিন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য কিভাবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা।
যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রী অলিভার ডাউডেন গণমাধ্যমকে বলেন, ” জলবায়ু বিপর্যয় পৃথিবীর জন্য ভয়াবহ হতে পারে। পরিস্থিতি সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজন। শুধু রোগ বা মহামারী নয় অতিবৃষ্টি, তুষারপাত, দাবদাহ যেকোনো কিছুই আসতে পারে বিপর্যয় হিসাবে। ”
উল্লেখ্য যে, বায়ুমণ্ডলে অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে বিশ্বব্যাপী চরম জলবায়ু অবস্থা দেখা দিচ্ছে তাতে ঝড়, দাবদাহ, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, আকস্মিক বন্যা, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক প্রভাব অদূর ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে।
যুক্তরাজ্য মন্ত্রিপরিষদ অফিস জানায় আবহাওয়া বিপর্যয়ের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কারণে দেশের অর্থনীতিতেও বিপর্যয় ঘনিয়ে আসতে পারে। তাই জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি ও গ্রিনহাউজ এফেক্ট নিয়ে সকল দেশের কাজ করা উচিত।
এম.কে
০৪ আগস্ট ২০২৩