দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কচুর লতি ‘লতিরাজ’ যাচ্ছে এখন লন্ডনে। এ লতি চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তনের হাতছানি দিয়েছে বাংলাদেশের কৃষকদের।
প্রায় ৫১০ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে লতা চাষ করেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ঝলমলা গ্রামের একজন কৃষক। তিনি বলেন, নিজের জমি মাত্র ৬০ শতাংশ। বাণিজ্যিকভাবে লতি চাষের জন্য ১১ জনের কাছ থেকে ৪৫০ শতাংশ জমি বর্গা এক বছরের চুক্তিতে নিয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে লতিরাজ বারি-১ জাতের লতার চারা রোপণ ও জমি তৈরিতে। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার লতি বিক্রি করেছেন। আরও ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিক্রি হবে।
স্থানীয় একজন কৃষক জানান, লতি নিয়ে এখন আর বাজারেও যেতে হয় না। সিলেটের পাইকারি বাজারে লতি বিক্রি হয়। আড়ৎদার নিজে এসে পুরো ক্ষেতের লতিরাজ লতি চুক্তিতে কিনে নিয়েছেন।
সিলেটের একজন পাইকার জানান, স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে সিংহভাগ লতি লন্ডনে রপ্তানি করা হচ্ছে। কচু আর লতি চাষে তেমন সার লাগে না। রোগ-বালাইমুক্ত ও বিষ দিতে হয় না, খরচও কম। তাই স্থানীয় কৃষকেরা প্রতিবছর লতি ও কচু চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
এম.কে
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩