3 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
আমেরিকাশীর্ষ খবর

সাদ্দাম হোসেন ও তার প্রমোদ তরী

সাদ্দাম হোসেন, এককালে তিনিই ছিলেন ইরাকের সর্বাধিনায়ক। আমেরিকা সে দেশের দখল নেওয়ার পর ইরাকের একদা সর্বেসর্বা এই নেতা চলে যান গোপন আস্তানায়। পরে তার ফাঁসি হয়। সেই সাদ্দাম হোসেনের একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী এখনও পড়ে রয়েছে দক্ষিণ ইরাকের শাতিল-আরব নদীতে। এখন এই প্রমোদতরীটির উপরে উঠে পিকনিক করেন বিদেশি পর্যটকেরা। কেউ কেউ এর উপর উঠে চা খান।
১২১ মিটার দীর্ঘ ‘আল-মনসুর’ নামের এই প্রমোদতরীটি ১৯৮০ সালে তৈরি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জন অতিথি থাকার বন্দোবস্ত ছিল। ছিল হেলিপ্যাডও। তবে সাদ্দাম এই প্রমোদতরীটি সাধ করে কিনলেও কোনও দিনই তাতে চড়তে পারেননি। ২০০৩ সালে আমেরিকার সেনা ইরাকে পৌঁছনোর পরে সে দেশের বাসরা নগরীর নিরাপদ স্থানে সেটিকে রেখে দেওয়া হয়। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। আমেরিকার হামলায় শাতিল-আরব নদীর অগভীর জলেই সেটি আটকে পড়ে। ২০০৩ সাল থেকে এত দিন এভাবেই ছিল সেটি। তবে ইদানীং সাদ্দামের এই প্রমোদতরীটি আবারও কৌতূহলের কেন্দ্রে এসেছে।
আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়েছিল, অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা দিয়েই প্রমোদতরীটি কিনেছিল সাদ্দামের পরিবার। ওটা চড়েই দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছেন ইরাকের প্রাক্তন একনায়ক। এমনটাই দাবি করেছিল আমেরিকার তৎকালীন জর্জ বুশ প্রশাসন। তবে ইরাকে পালাবদলের পর এই প্রমোদতরীর একাধিক জিনিস খোয়া যায় বলে দাবি করেছেন স্থানীয়েরা। ইরাকের নৌবাহিনীর এক সদস্য জানিয়েছেন, এখনও ওই প্রমোদতরীটি দর্শকদের নজর কাড়ে।

আরো পড়ুন

রাশিয়ান বিমানকে এস্তোনিয়ান আকাশসীমার ন্যাটোর হুমকি

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবা নির্বিঘ্ন করতে ২০টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের আহ্বান

লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড বিকল করা ধর্মঘট আসছে

অনলাইন ডেস্ক