TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ইসরায়েল-গাজা পোস্টে মিথ্যা জড়ানো: বহিষ্কারের ক্ষতি পূরণে আদালতের দ্বারস্থ শিক্ষার্থী

যুক্তরাজ্য রিচমন্ড আমেরিকান ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে ৯৮ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে আদালতে গেছেন এক সাবেক ছাত্রী, যাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছদ্মবেশে করা ঘৃণামূলক পোস্টের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করেছিল। ইসরায়েল–গাজা সংঘাত নিয়ে ছড়ানো ওই বিতর্কিত পোস্টগুলি তার না, বরং একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছদ্মবেশে করা হয়েছিল—এমন অভিযোগ করেছেন সারা এমবাবাজি*।

 

২০২৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে “অসদাচরণ” অভিযোগে বহিষ্কার করলেও এমবাবাজি দাবি করেন, নকল অ্যাকাউন্টের পোস্ট তাকে ফাসাতে তৈরি করা হয়েছিল। ওই অ্যাকাউন্টে তার ইনস্টাগ্রাম ছবি, নাম এবং টুইটার প্রোফাইলের লিংক ব্যবহার করা হয়, যেখানে প্রকৃত অ্যাকাউন্টের ‘T’ অক্ষর পরিবর্তন করে নকল অ্যাকাউন্টে ‘L’ বসানো হয়। তার অভিযোগ, এটি ছিল পরিকল্পিত সাইবার বুলিং এবং ক্যাটফিশিং।

বহিষ্কারের পর বিশ্ববিদ্যালয় তার উপস্থাপিত ডিজিটাল প্রমাণ যাচাই না করায় এবং কোনো সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ নিয়োগ না করায় এমবাবাজি অভিযোগ করেন শিক্ষা বিষয়ক স্বাধীন অভিযোগ সংস্থা OIA–এর কাছে। OIA তদন্তে দেখতে পায় বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কারের যুক্তি যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করেনি এবং সিদ্ধান্ত–গ্রহণকারী প্যানেলের কোনো লিখিত সারসংক্ষেপও সরবরাহ করেনি।

OIA–এর নির্দেশনার পর বিশ্ববিদ্যালয় নতুন একটি প্যানেল গঠন করে এবং পর্যালোচনায় সিদ্ধান্ত হয়—এমবাবাজি ওই পোস্টগুলোর লেখক ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ নেই। ফলে তাকে পুনরায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হলেও এমবাবাজি মনে করেন, বহিষ্কারের সময়কার আর্থিক ক্ষতি, নিজের খরচে এক বছরের বেশি সময় টিকে থাকা এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে তৈরি হওয়া নেতিবাচক প্রভাব এর মধ্য দিয়ে পূরণ হবে না।

এমবাবাজির অভিযোগ, বহিষ্কারের ১৮ মাস তিনি সামাজিক অপমান, আর্থিক সংকট এবং মানসিক চাপের মুখোমুখি হয়েছেন। পরিবারিক সম্পর্কচ্ছেদ, বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত সমস্যার কারণে তিনি আগে থেকেই ‘সংবেদনশীল শিক্ষার্থী’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ ছিলেন; বহিষ্কারের পর তার মানসিক স্বাস্থ্য আরও অবনতির দিকে যায় বলে জানান তিনি।

ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয় এবং পূর্ণাঙ্গ ক্ষমা এখনো না পাওয়ায় তিনি কাউন্টি কোর্টে দেওয়ানি মামলা করেছেন। মামলার শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ শৃঙ্খলাপ্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়, যদিও ব্যক্তিগত মামলার বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে

আরো পড়ুন

ব্রিটেনে ৩ হাজার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা

জেরেমি কর্বিন লন্ডন মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশ: বরিস জনসন