13.1 C
London
April 29, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নিতে পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য সরকার

একটি সরকারী প্রতিবেদনের ফাঁস হওয়া খসড়া প্রস্তাবে দেখা যায়, ব্রিটেনের গ্যাস গ্রিড বন্ধ হবার ফলে অধিকাংশ পরিবার মাসে আনুমানিক ২৩০০ পাউন্ড বিলের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতীয় অবকাঠামো কমিশনের খসড়া অনুসারে ব্রিটেনের গ্যাস গ্রিডকে বাতিল করার ব্যয় মোট ৬৫ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছতে পারে।

কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নিতে পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা। তাদের খসড়া অনুযায়ী মাটির নীচে দিয়ে পরিচালিত ১,৭৬,০০০ মাইল পাইপ লাইন সমূহ অপসারণ করতে হবে যা ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এনআইসি বিশ্বাস করে গ্রিডটিকে হাইড্রোজেন দ্বারা চালিত করা উত্তম কারণ হাইড্রোজেন ক্লিনার হিসেবে কাজ করে। তবে এই রুপান্তর ব্যয় হতে পারে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ডের সমপরিমাণ। তবে উচ্চতাপ তৈরিতে হাইড্রোজেনের ভুমিকার সমাধান নিয়েও এনআইসি সন্দিহান।

যুক্তরাজ্য সরকারের একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে পৌঁছানোর সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে পরিসংখ্যানগুলি গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।

পার্লামেন্টে নেট জিরো স্ক্রুটিনি গ্রুপের সভাপতিত্বকারী টরি সাংসদ ক্রেগ ম্যাকিনলে বলেন,“ সরকার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার জন্য। যদিও সফলতা অনেক দূরে রয়েছে তবুও বলা যায় তা পূর্বসূরীদের চেয়ে ভালো উদ্যোগ। গ্যাস বয়লার থেকে তাপ পাম্পগুলিকে রূপান্তর করতে হবে যার ডিকোমিশন খরচ বিলিয়ন পাউন্ড।”

প্রাক্তন জ্বালানি সচিব স্যার জ্যাকব রিস-মোগ বলেছেন, সরকারের নেট শূন্য পরিকল্পনাগুলি ধোঁয়াচ্ছন্ন। তিনি জানান, সরকার গ্যাস গ্রিডকে বাতিল করতে পারে না, কারণ এটি সসমর্থনযোগ্য নয়।
কার্বন নিঃসরণ শূন্যে পৌঁছানোর আইনী বাধ্যবাধকতা বাস্তবসম্মত কিনা তা নিয়েও সরকারের ভাবা উচিত।

পূর্ববর্তী সরকারের একজন জ্বালানি সচিব কোয়াসি কাওয়ার্তেং বলেছেন, ডিকোমিশনিংয়ের ব্যয় নিয়ে সরকার অনুমান নির্ভর কথা বলছে।

তিনি বলেন, এই দেশে সমস্ত গৃহস্থালীর উত্তাপের ব্যবস্থা বিদ্যুতায়িত হবে এমন আশা করা প্রায় অবাস্তব। যদিও গৃহস্থালীতে ও ব্যবসায়িক কারণে প্রাকৃতিক গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন জ্বলন বন্ধ করার প্রয়াস চলছে। বর্তমান প্রস্তাবগুলির অধীনে সরকারের মন্ত্রীরা গ্যাস-চালিত বয়লারগুলির প্রধান প্রতিস্থাপক হিসাবে বৈদ্যুতিক তাপ পাম্পকে সমর্থন করছেন কিন্তু ভেবে দেখা উচিত তা আদৌ কতটুকু সম্ভব।

এনআইসির একজন মুখপাত্রের নিকট ফাঁস হওয়া প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সরকারী এক মুখপাত্র বলেছেন, “ আমাদের গ্যাস নেটওয়ার্ক সর্বদা আমাদের শক্তি ব্যবস্থার অংশ। তাই এই বিষয় নিয়ে অনুমান নির্ভর কোনো মতামত দেওয়া ঠিক নয়।

উল্লেখ্য যে, এরই মধ্যে গ্যাস নেটওয়ার্ক সমূহের মালিকরা ২০৩০ সালের মধ্যে ধাতব পাইপ প্লাস্টিকের সাথে প্রতিস্থাপনের জন্য লক্ষাধিক পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন বলে জানা যায়।

এম.কে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

বাংলাদেশের ওপর আমদানি-রফতানি নিষেধাজ্ঞা দিলো সাইটিস

বিতর্কিত রুয়ান্ডা প্ল্যানের পক্ষে ভোট ব্রিটিশ এমপিদের

নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের ৩৬ স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ করলো ইসরো