6 C
London
April 23, 2024
TV3 BANGLA
শীর্ষ খবরসারাদেশ

ঢাকায় পাতাল রেল, ২০৩০-এর মধ্যে ৪ রুট চালুর পরিকল্পনা

ঢাকা মহানগরে স্বপ্নের পাতাল রেল (সাবওয়ে) নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ২০৫০ সালে ঢাকায় মাটির নিচ দিয়ে রেল চলাচল করবে। এতে মোট ১১টি রুট থাকবে। তবে প্রাথমিকভাবে ২০৩০ সালে চারটি রুট চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

 

চার রুটের কাজ ২০৩০ সালের মধ্যেই কাজ শেষ করার আশা করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তবে, সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন ঢাকার দুই মেয়র।

 

চার রুট নির্মাণে ব্যয় হবে দেশের চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি। তবে স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই খরচ হয়ে যাচ্ছে ৩২১ কোটি টাকা। সরকার এখন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। চলতি বছরের জুনে সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক নকশার কাজ শেষ হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩১৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে পরামর্শক খাতে।

 

জানা যায়, এটির নির্মাণ সড়কে যন্ত্রণার সৃষ্টি করবে না। কর্মযজ্ঞ চলবে মাটির নিচে।

 

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে ঢাকা সাবওয়ে (পাতাল রেল) নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের খসড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীর মোট চারটি রুটে সাবওয়ে নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ৩০৬ মিলিয়ন ডলার।

 

আর ২০৪০ সালের মধ্যে আরো চারটি এবং ২০৫০ সালের মধ্যে আরো পাঁচটি রুটে সাবওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

প্রথম ধাপের প্রস্তাবিত চার রুট

রুট-১ : কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল থেকে টঙ্গী জংশন পর্যন্ত। এই ৩৫ কিলোমিটার পথে থাকবে মোট ২৪টি স্টেশন। ঝিলমিল, তেঘরিয়া বাজার, মুসলিমনগর, সদরঘাট, গুলিস্তান, কাকরাইল, হাতিরঝিল, বিজি প্রেস, রজনীগন্ধা মার্কেট, ভাসানটেক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কালশী, উত্তরা সেক্টর-১৭, নর্থ বাউনিয়া, উত্তরা সেক্টর-১৪, উত্তরা সেক্টর-১০, মাছিমপুর ও টঙ্গী জংশন এলাকায় স্টেশন করা হবে।

রুট-২ : গাবতলী থেকে ভেলাব ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার এলাকায় ১৪টি স্টেশন হবে। গাবতলী, গোলারটেক, তুরাগ সিটি, জাতীয় চিড়িয়াখানা, পূর্বাচল, গাবতলী-ভেলাব ইউনিয়ন সেক্টর-১১, পূর্বাচল সেক্টর-২১, পূর্বাচল সেক্টর ইস্ট, পূর্বাচল মালুম সিটি ও ভেলাব ইউনিয়নে স্টেশন হবে।

রুট-৩ : কেরানীগঞ্জ থেকে সোনাপুর প্রায় সাড়ে ২৬ কিলোমিটারে ১৫টি স্টেশন হবে। কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীর চর, লালবাগ, চকবাজার, নয়াবাজার, কেরানীগঞ্জ-সূত্রাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, দনিয়া, রায়েরবাগ, মাতুয়াইল, সাইনবোর্ড, সানারপাড়, মৌচাক, চিটাগাং রোড, কাঁচপুর ও সোনাপুরে স্টেশনগুলো তৈরি হবে।

রুট-৪ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় ৩২টি স্টেশন হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আশুলিয়া মডেল টাউন ইস্ট, উত্তরা সেক্টর-১৬, উত্তরা নর্থ, আজমপুর কাঁচাবাজার, শাহ কবীর মাজার নর্থ, আফতাবনগর নর্থ, ওয়েস্ট নন্দীপাড়া, গ্রিন মডেল টাউন, মাতুয়াইল রোড, নন্দিপাড়া দক্ষিণ, বরুয়া সাউথ, বসুন্ধরা সাউথ, সান ভ্যালি উত্তর পাড়া, শনির আখড়া, রায়েরবাগ, ইস্ট মোহাম্মদবাগ, ফতুল্লা স্টেশন, ডিসি অফিস নিউ কোর্ট ও নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া এলাকায় হবে রেলস্টেশন।

 

১ এপ্রিল ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

ওমরাহ পালনে মুসল্লিদের সুখবর দিল সৌদি কর্তৃপক্ষ

উইন্ডসরে নিজেদের প্রাসাদের মালিকানা হারালেন হ্যারি-মেগান

দিনভর মোবাইল ঘেঁটে হুইল চেয়ারে যুবতী, আক্রান্ত ‘ডিজিটাল ভার্টিগোয়