6.8 C
London
April 29, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশশীর্ষ খবর

দামের কারণে বাংলাদেশের ইলিশ কেনার লোক নেই পশ্চিমবঙ্গে !

অনেক অর্থ খরচ করে বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ আমদানি করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দামের কারণে পাইকারি বাজারের গণ্ডি পেরিয়ে এখনো খুচরা বাজারে পৌঁছায়নি আমদানিকৃত ইলিশের অধিকাংশ। তাই পদ্মার ইলিশে এবার বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ঢুকেছে পশ্চিমবঙ্গে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তারপর শুক্রবার সকালেই হাওড়ার পাইকারি বাজারে ঢোকে অন্তত ৫০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ। রাজ্যের অন্য পাইকারি বাজার গুলোতেও আমদানিকৃত ইলিশ ঢুকেছে। কিন্তু দামের কারণে ইলিশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ক্রেতাদের একটা বড় অংশ।

ইলিশের দাম অন্যবারের তুলনায় এবার অনেকটাই বেশি বলে জানান কলকাতার মাছ ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বাজারেই গত বছরের তুলনায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি দরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ফলে সেই মাছ খুচরা ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে যখন সাধারণ বাজারে আসছে, সেখানেই বাড়তি দর হাঁকাতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা।

রোববার ছুটির দিনে হাওড়াসহ জেলার একাধিক পাইকারি আড়তে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের পদ্মার ইলিশের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১২০০ থেকে ১৪০০ রুপি। এক কেজি বা তার বেশি ওজনের মাছের দাম ১৬০০ থেকে ১৮০০ রুপি। তাই অনেকেই পদ্মার এই দামি ইলিশ কিনতে চাইছেন না।

দামের কারণে পদ্মার ইলিশের চাহিদা কমে যাওয়ায় কোথাও কোথাও কেনা দামের চেয়েও সস্তায় ইলিশ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে মৎস্য আমদানি সংগঠনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘প্রথম দিকে মাছের দাম কিছুটা চড়া থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে দাম কমবে। তবে খুব কমবে, এমন আশ্বাস আমরা দিতে পারছি না।’

এম.কে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

সমারসেটে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পরার এক বছর

নিউজ ডেস্ক

রাইট টু রেন্ট

অনলাইন ডেস্ক

করোনা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে ইউরোপ-এশিয়ায় নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা