11.9 C
London
April 28, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

পড়াশোনার নামে বিদেশি শিক্ষার্থীরা কাজ করতে আসে—দাবি ব্রিটিশ মন্ত্রীর

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব জেমস ক্লেভারলি মনে করেন—আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কাজের ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সগুলোকে ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার অখণ্ডতা এবং গুণমানকে ক্ষুণ্ন করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজরি কমিটির (এমএসি) কাছে একটি চিঠি লিখেছেন ক্লেভারলি। চিঠিতে বিষয়টির তদন্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতক হওয়ার পর দুই বা তিন বছর কাজ করার অনুমতি দেওয়ার সাপেক্ষে যুক্তরাজ্য ‘সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং সেরা’ শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে কি-না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী।

এমএসির কাছে পাঠানো চিঠিতে ক্লেভারলি উল্লেখ করেছেন—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে পড়তে আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল সরকার। তবে বর্তমানে এই সুযোগের অপব্যবহার যেন না হয়, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চায় সরকার। বিশেষ করে, পড়াশোনার জন্য ভিসা যেন অভিবাসন আকাঙ্ক্ষার দ্বারা চালিত না হয় সেই বিষয়টির নিশ্চয়তা চাইছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, গ্র্যাজুয়েট ভিসার পথ সীমিত করলে আন্তর্জাতিক কর্মী নিয়োগে মারাত্মক ধস নামবে এবং আন্তর্জাতিক টিউশন ফি থেকে আয়ের ওপর নির্ভর করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিক সংকটে পড়বে।

এ বিষয়ে মিলিয়নপ্লাস গ্রুপ অফ ইউনিভার্সিটির প্রধান নির্বাহী র‍্যাচেল হিউইট মনে করেন—সরকারের পর্যালোচনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে ব্রিটিশ উচ্চ শিক্ষার সাফল্যকে ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। র‍্যাচেল বলেন, ‘প্রতিটি নেতিবাচক শিরোনাম এবং নীতি সংস্কার ব্রিটেনকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে কম আকর্ষণীয় করে তোলে।’

ইউনিভার্সিটিজ ইউকে ইন্টারন্যাশনাল-এর পরিচালক জেমি অ্যারোস্মিথ জানিয়েছেন, ক্লেভারলির দেওয়া সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার পর কাজ অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের দেশে যারা বিনিয়োগ করেছে তাদের কাজ খুঁজে পাওয়ার এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ দেয়।’

ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজরি কমিটি আগামী মে মাসে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করবে। আশঙ্কা আছে, ওই রিপোর্টের পর যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা খাতের জন্য কঠিন সময়ে আসতে পারে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এই সময় পর্যন্ত দেশটিতে ইতিমধ্যেই বিদেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ৪০ শতাংশ কমে গেছে।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১৫ মার্চ ২০২৪

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্য মৎস খাতে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট

পুতিনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা মোবাইল ফোন: রাশিয়ায় সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশংকায় যুক্তরাজ্য