TV3 BANGLA
শীর্ষ খবরসারাদেশ

পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন প্রবাসী কর্মীরা।

 

রোববার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে পাসপোর্ট অফিসের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। পরে সেখানেই পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগ তোলেন প্রবাসী কর্মীরা। সূত্র: সময় অনলাইন।

 

বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন পরে বিদেশে চাকরির সুযোগ এলেও পাসপোর্টে ভুল থাকার কারণে ভিসা জটিলতায় পড়েছেন তারা। এতে অসংখ্য প্রবাসী বিদেশে কর্মস্থলে চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন।

 

দ্রুত পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের যথাযথ ব্যবস্থা করতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরীও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামার খান কামালের প্রতি দাবি জানান তারা।

 

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর  মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিভাগীয় অফিসে সক্ষমতার চেয়ে ই-পাসপোর্টের বেশি আবেদন জমা পড়ায় ছবি ও আঙুলের ছাপ নিতে দীর্ঘ সময় লাগছে বলে জানান ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী। এ জন্য পাসপোর্ট সরবরাহেও বিলম্ব হচ্ছে। দ্রুত পাসপোর্ট পেতে নিজ নিজ এলাকায় ই-পাসপোর্টের আবেদন করার পরামর্শ দেন তিনি।

 

পাসপোর্ট বিটে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (পিআইআরএফ) নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

ডিজি বলেন, দেশে ৭২ টি পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে শুধু আগারগাঁও অফিসেই ই-পাসপোর্টের আবেদন বেশি জমা হচ্ছে। দৈনিক সক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি আবেদন জমা হওয়ায় ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছাপ নিতে লম্বা শিডিউল দিতে হচ্ছে। এতে গ্রাহকরা আবেদন করেও এক থেকে দুই মাস পর আবেদন কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন। কিন্তু উত্তরা, যাত্রাবাড়ীসহ দেশের অন্য বিভাগীয় এবং আঞ্চলিক অফিসগুলোতে সে চাপ নেই। আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই আনুষঙ্গিক কাজ করতে পারায় এসব অফিসে শিডিউলও নিতে হচ্ছে না। এ জন্য পাসপোর্টও দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে।

 

অনেকের তথ্যগত ভুলের জন্যও মেশিনে অটোমেটিক পাসপোর্ট আটকে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য সরবরাহে বিলম্ব হয়। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চললেও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়নি বলেও জানান তিনি। বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোর মাত্র ৫টিতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু করা গেছে। তাই অন্য দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের এমআরপি দিতে হচ্ছে।

 

পিআইআরএফ নেতারা পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি, হয়রানিসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। ডিজি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যত্যয় থাকলেও প্রতিনিয়তই সেবার মান উন্নত হচ্ছে। অনেকে ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করায় ভোগান্তিতে পড়ছেন। সে দায় চাপছে অধিদপ্তরের ওপর। এ জন্যই ফরম পূরণসহ নানা কার্যক্রম চালাতে নির্ধারিত এজেন্ট থাকার বিষয়ে তারা চিন্তাভাবনাও করেছিলেন।

 

৩ অক্টবর ২০২১
নিউজ ডেস্ক

আরো পড়ুন

অভিবাসী সংকটে নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা

অনলাইন ডেস্ক

ফ্রান্সের নাগরিকত্ব চান বোরিস জনসনের বাবা

পরাশক্তিদের সম্পর্কচ্ছেদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি একটি শীতল যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে