6.8 C
London
April 29, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশশীর্ষ খবর

প্রায় ৫শ’ গার্মেন্টসের বেতন-বোনাস নিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে পরিস্থিতি

দেশের রফতানি আয়ের মূল উৎস তৈরী পোশাক খাত কিন্তু ক্রমেই এই খাতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। একদিকে শ্রমিকরা নতুন বেতন কাঠামো মেনে নেয়নি এবং প্রত্যাশিত বেতনের দাবি থেকে সরে আসেনি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ‘শ্রমনীতি’ খড়গ। গত এক বছরে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি কমে গেছে। এর মধ্যে ‘গণতন্ত্র’ ইস্যুতে অসন্তুষ্ট বাইডেন প্রশাসন।

শ্রমিকদের অধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি) বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের পোশাক খাত নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের শুরুতে গত ১১ মার্চ বাংলাদেশের শুনানিতে যথাযথ জবাব দিতে পারেনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি। তার মধ্যে ঈদের আগে শুরু হয়েছে বেতন-বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তা। প্রায় পাঁচ শতাধিক গার্মেন্টসের ঈদের আগে সময়মতো শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার সক্ষমতা নেই বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

জানা গেছে, কয়েকশ’ গার্মেন্টসে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট এ আট শিল্প এলাকার ৪১৬টি কারখানায় বেতন-বোনাস দেয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ১৭১টি কারখানার অবস্থা খুবই খারাপ। আবার তৈরী পোশাক খাতের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য কারখানা রয়েছে ৬২৮টি। এর মধ্যে সমস্যা হতে পারে এমন কারখানা আছে ৭১টি। এসব তথা প্রায় ৫ শতাধিক কারখানায় ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে রমজান মাসে শ্রমিক রাজপথে নেমে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন, কারখানাগুলো নিয়ে এ বছরের মতো খারাপ অবস্থা পোশাক খাতে আর আসেনি। ঈদকে সামনে রেখে কঠিন অবস্থায় আছি। এখনও অনেক কারখানা ফেব্রুয়ারির বেতন দিতে পারেনি। ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদান নিয়ে আমরা চিন্তিত ও শঙ্কিত। দীর্ঘদিন থেকেই এটি নিয়ে চাপে রয়েছে পোশাক খাত। ব্যয়ের অনুপাতে বায়ারদের কাছ থেকে সঠিক দাম পাচ্ছে না। তবে বর্তমান এই সঙ্কটে পূর্বের মতো যাতে যথাসময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে পারি সে জন্য সবার সহযোগিতা চাই।

দেশের রফতানি আয়ের মূল উৎস তৈরী পোশাক খাত, যেখান থেকে বিজিএমইএ’র হিসেবে গেল বছর এসেছে ৪৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এর মধ্যে একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে আমেরিকা থেকে ৭ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। যদিও এই আয় আগের বছরের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম। এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি কমেছে আবার শ্রম অধিকার লঙ্ঘনে সম্প্রতি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের নতুন ‘শ্রমনীতি’ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে পোশাকের নতুন রফতানি আদেশ প্রতিদিনই কমছে। আর এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে দেশের পোশাক খাতে।

এম.কে
২৭ মার্চ ২০২৪

আরো পড়ুন

ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় ইইউ

বিলেতে বাড়ি কেনাবেচা: কনসেসোনারি পারচেজ  

অনলাইন ডেস্ক

ভারি বৃষ্টিতে ডুবে গেল দুবাই বিমানবন্দর