7.3 C
London
April 27, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যখাতের জন্য ভয়াবহ অশনিসংকেত, পেশা বদলাতে চায় চিকিৎসকরা

এনএইচএস নিয়ে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আসতে দেরি হবার সম্ভাবনা থাকায় অনেক চিকিৎসক তাদের পেশা বদল করে ফেলতে চান বলে জানায় জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিল। তাছাড়া চিকিৎসকরা নিজেদের পেশায় সন্তুষ্ট নয় বলেও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।

মেডিকেল ওয়ার্কফোর্স সম্পর্কিত জিএমসির বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনে এনএইচএস দীর্ঘমেয়াদী কর্মশক্তি পরিকল্পনায় সরকার কর্তৃক ঘোষিত ব্যবস্থাগুলি শুরু করতে আরও এক দশক অপেক্ষা করাও লাগতে পারে৷

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ২০২২ সালে ২৩,৮৩৮ জন চিকিৎসক যোগদান করেছে যেখানে ১১,৩১৯ জন পেশা বদলে বাধ্য হয়েছে অথবা দেশত্যাগ করেছে। যদিও পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায় যোগদানের পরিমাণ বেশি তথাপি এখনও চিকিৎসকদের চাকুরী ছাড়ার হার প্রায় ৪%।

জিএমসি সতর্ক করে দিয়ে বলে, যে “উদ্বেগজনক লক্ষণ” রয়েছে তা যদি ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ে এবং সমস্যা সমাধানে সরকার কাজ না করে তাহলে চিকিৎসকদের চাকুরী ছেড়ে দেয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।

জিএমসির চিফ এক্সিকিউটিভ চার্লি ম্যাসি বলেছেন, কর্মী বাহিনীতে বৈচিত্র্য “একটি ইতিবাচক বিষয়”। ভিন্ন দেশ হতে চিকিৎসক নিয়োগ দ্বারা সমস্যা সমাধান সম্ভব। তাছাড়া এর মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বা ভিন্ন পরিবেশ হতে শেখা জিনিসের আদান প্রদান সম্ভব।

তবে ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কাউন্সিলের উপ -চেয়ারম্যান এমা রানসউইক বলেন, আন্তর্জাতিক চিকিৎসকদের ক্রমাগত নিয়োগ যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক সঙ্কটের টেকসই সমাধান নয়। বরং সরকারের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।

এনএইচএসের জন্য সরকারের কর্মশক্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ১৫ বছরে প্রায় ৩ লাখের বেশি নার্স, চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে মেডিকেল স্কুলের আসন সংখ্যা ১৫ হাজারের দ্বিগুণ করতে হবে।

জিএমসি জানিয়েছে সাধারণত মেডিকেল ডিগ্রি শেষ করতে কমপক্ষে পাঁচ বছর সময় লাগে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যখাতে অভাব পূরণ করাও কঠিন হবে।

এম.কে
১৩ নভেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

ব্রিটেনে খাদ্য সরবরাহ সংকট চরমে: বন্ধ হচ্ছে রেস্তোরাঁ

অ্যামাজনের এক ট্রিলিয়ন ডলার দরপতন

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে বাড়ির দাম কমার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ