যুক্তরাজ্যে গত ১০ বছরের তুলনায় এবার দ্রুততম গতিতে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। গত অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতির হার ছুয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানত জ্বালানি তেল এবং বিদ্যুৎ খরচ বাড়ার প্রভাবে এই মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস। এছাড়াও বেড়েছে সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি এবং খাওয়ার খরচও।
জানা যায়, এই বছর কোভিড বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর এবং অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়ার পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি তীব্রভাবে বেড়েছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলেছে, ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য মোকাবেলা করতে “আসন্ন মাসগুলোতে” সুদের হার বাড়াতে হতে পারে।
এ বছর সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩ দশমিক ১ শতাংশ। অক্টোবরে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ হলেও বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফজেম গত মাসে বাসাবাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোই মুদ্রাস্ফীতির এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির মূল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত অক্টোবরে গ্যাস বিল বেড়েছে ২৮ দশমিক ১ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুক্তরাজ্যেও ব্যাপক বেড়ে পেট্রোলের দাম। প্রতি লিটারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ২৫ দশমিক চার পাউন্ড। ২০১২ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় মূল্য বৃদ্ধি।
১৭ নভেম্বর ২০২১
এনএইচ