বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার অধিকাংশ মানুষ। আর তাই নিপীড়িত দেশটির সমর্থনে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকেন অনেকেই। তেমনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার আদায়ে এবার হেঁটে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেন এক ব্রিটিশ নাগরিক।
২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার হেঁটে সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে পৌঁছান ব্রিটিশ নাগরিক মিক বোম্যান। এপ্রিলে ইউরোপ থেকে যাত্রা করে সুইজারল্যান্ড, ইতালি, আলবেনিয়া, উত্তর মেসেডোনিয়া, গ্রিস, তুরস্ক ও জর্ডান পাড়ি দিয়ে ফিলিস্তিনে পৌঁছান এই ব্যক্তি। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের দুর্দশার ওপর বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বোম্যান।
মিক বোম্যান বলেন, আমি এই ভ্রমণ নিয়ে আশাবাদী। কারণ এতে কোনো স্পন্সর নেই। আমি পুরোটা হেঁটে নিজের কাঁধে জিনিসপত্র বহন করে এই ভ্রমণ করেছি। আমার বয়সের কারও জন্য এটা একটু অস্বাভাবিক। সুতরাং আমি মনে করছি, মানুষ আমার ভ্রমণের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবে। এটা আমাকে মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেবে। আর আমি সবার সামনে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে পারব।
ইউরোপ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে হেঁটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন বোম্যান। বিশেষ করে ইউরোপে চলমান তীব্র গরমের ধাক্কা সহ্য করতে হয়েছে তাকে। সাবেক এই সমাজকর্মী জানান, ফিলিস্তিনে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি যেসব বন্ধু ও সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছিলেন তাদের সঙ্গে পুনরায় সাক্ষাৎ করতে পারবেন এবং কীভাবে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা যায় তার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের পিতৃভূমি থেকে উচ্ছেদের সাত দশকের বেশি সময় পার হয়েছে। এখনো এটা চলছে, এটা খুবই লজ্জাজনক।
দীর্ঘ এই ভ্রমণ শেষে জেরিকোতে পৌঁছে স্বস্তি অনুভব করছেন বলে জানান বোম্যান। এ সময় তল্লাশি চৌকিতে ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কাও কাজ করছিল তার মধ্যে। ব্রিটিশ এই নাগরিক জানান, এর আগেও তিনি বহুবার ফিলিস্তিনে এসেছেন। এখানকার মাটি ও মানুষকে বেশ ভালোবাসেন বোম্যান।
এম.কে
০৫ অক্টোবর ২০২৩