যুক্তরাজ্যের বার্কলেসের প্রধান নির্বাহীর মতে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ১৯৪৮ সালের পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে রয়েছে। করোনা ভাইরাস টিকা কর্মসূচীর সাফলতার কারণে সেদেশের বিদেশি গ্রাহকরা বিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠায় এ অগ্রগতি দেখা দেবে বলে তার অভিমত।
তিনি বলেন, এ বছর মহামারি চলাকালীন সময়ে পণ্যের চাহিদা থেকে বোঝা যাচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে থেকে এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে শক্তিশালী বছরের পূর্বাভাস।
ইউরোপে ভ্যাকসিনের ধীর গতির কারণে তারা তুলনামূলক ভাবে কঠিন সময় পার করছে। অপর দিকে যুক্তরাজ্য টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি খুব ভালভাবে করেছে, মূলত জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকা নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের অর্থনীতি আরও দ্রুত গতিতে সচল হচ্ছে। বছরের শুরুতে ব্যাংক গ্রাহকদের ব্যয় হ্রাসের যে রেকর্ড করেছিল সেটি ইতোমধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। যুক্তরাজ্যের টিকাদান কর্মসূচির অসাধারণ সাফল্যের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, এক বছরের আগের তুলনায় এপ্রিলের প্রথম দুই সপ্তাহে ব্যয় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
ভারতের মহামারি পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা ভারতকে খুব নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ভারতের চিকিৎসা সরবরাহকারী দাতব্য সংস্থাগুলোকে ১ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান দিয়েছি। ভারতের এই মহামারি থেকে বেরিয়ে আসতে সবার সহযোগিতা দরকার।
সূত্র: দা গার্ডিয়ান
২ মে ২০২১
এসএফ