লকডাউনের কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ধস নেমে এসেছে। শুধু সেখানেই নয়, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই করোনা মহামারির কারণে অর্থনীতির গতি কমে গেছে। লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। ছোট-মাঝারি বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করা মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই লকডাউন জারি করে যুক্তরাজ্য। করোনার বিস্তার ঠেকাতে জারি হয় কঠোর বিধি-নিষেধ।
মহামারির কারণে গত ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর্থিক সংকটে পড়েছে দেশটি।
অর্থনীতি বিভাগের প্রধান সুরেন থিরু বলেন, সর্বশেষ তথ্যমতে যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার অবরুদ্ধ হয়ে আছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ হতে ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে বেতনভুক্ত কর্মীর সংখ্যা ৮ লাখ ১৩ হাজারের মতো কমে গেছে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্সের (ওএনএস) প্রমাণ দেখিয়ে বলেছে, বেকারত্বের হার আশ্চর্যজনকভাবে জানুয়ারিতে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, ডিসেম্বর মাসে যা ছিল ৫.১ শতাংশ। ওএনএস পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানুয়ারিতে ১৭ লাখ মানুষ বেকার ছিল।
ওএনএসের উপাত্তে আরো দেখা গেছে, মহামারিতে চাকরি হারানোর অধিকাংসেরই বয়স ২৫ বছরের নিচে।
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোর ২১ বছরের তরুণী ম্যারি গতবছর করোনা মহামারিতে চাকরি হারান। তারপর থেকে তিনি চাকরি খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে হতাশ হয়ে পড়েন।
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক একটি বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা ৩৫২ বিলিয়ন ইউরোর সহায়তার প্যাকেজের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আগামী মাসগুলোতেও লোকদের সাহায্য অব্যাহত রাখব।
সূত্র: মিরর
২১ এপ্রিল ২০২১
এসএফ