পাকিস্তানে একটি চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচা পরিষ্কারের সময় মানুষের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের শেরবাগ চিড়িয়াখানায় বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। এরপর চিড়িয়াখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই দিন সকালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিনটি বাঘের মধ্যে একটির মুখে মানুষের জুতা দেখতে পাওয়ার পর মরদেহটি পাওয়া যায়।
চিড়িয়াখানার দায়িত্বে থাকা প্রাদেশিক বন বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলি উসমান বুখারি জানান, লোকটি কিভাবে সেখানে প্রবেশ করেছেন তা বের করতে চিড়িয়াখানাটি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরদেহের অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্যক্তির ওপর বাঘ হামলা করেছিল।
বুখারি জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে বাঘ আক্রমণ করার সময় ওই ব্যক্তি জীবিত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি আক্রমণ করার জন্য বাঘ তার খাঁচার বাইরে বের হয়নি। লোকটি সেখানে ঢুকেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুখারি বলেন, ‘যদি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়, আমরা তা সমাধান করব।
প্রয়োজনে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ দেওয়া হবে।’
এদিকে নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি এবং কেউ মরদেহ দাবি করতেও যোগাযোগ করেনি।
মরদেহ পাওয়ার পর জ্যেষ্ঠ স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চিড়িয়াখানার কর্মীরা সবাই ঠিক আছেন। তার মতে, এটি কোনো উন্মাদের কাজ। কারণ কোনো বুদ্ধিমান মানুষ বাঘের খাঁচায় ঢুকবে না।
খাঁচাটি সুরক্ষিত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভবত ওই ব্যক্তি পেছনে থাকা সিঁড়ি ব্যবহার করে খাঁচায় লাফ দিয়েছেন।
চিড়িয়াখানাটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৪২ সালে। পাকিস্তানের চিড়িয়াখানাগুলো প্রায়ই খারাপ অবস্থায় থাকে এবং প্রাণীদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এম.কে
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩