শিক্ষা, সাহিত্য, শিল্পকলা ও প্রযুক্তি খাতের সেরা মেধাবিদের জন্য যুক্তরাজ্য গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা দিচ্ছে। কিন্তু, চালুর পর থেকেই অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু প্রতিকূলতায় পড়েছে এই উদ্যোগ। নোবেল, অস্কার ও গ্র্যামিজয়ীদের যুক্তরাজ্যে আকর্ষণের লক্ষ্য থাকলেও- এর সুযোগ নিতে আগ্রহ বেশ কমই দেখা যাচ্ছে। গত দুই বছরে এ ভিসার জন্য আবেদন করেছেন মাত্র তিনজন।
ভিসার সুযোগ এত কম ব্যক্তি নেওয়ায়– যুক্তরাজ্যের এই মেধা আকর্ষণের কৌশল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাতদের যুক্তরাজ্যে আনার বিশেষ এ প্রচেষ্টা আদৌ কতোটা কার্যকর বা প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ কি-না উঠছে সে প্রশ্ন।
দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ২০২১ সালে এই ভিসা সুবিধার ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এসব পুরস্কারজয়ীরা তাদের ক্যারিয়ারের শিখরে পৌঁছেছেন, যুক্তরাজ্যকে তারা অনেক কিছুই দিতে পারবেন। ভিসা নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এসব পরিবর্তনের ফলে- তারা এদেশে আসার স্বাধীনতা পাবেন। আমাদের বিশ্বমানের শিল্পকলা, বিজ্ঞান, সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করতে পারবেন– যা আমরা আরো উন্নত করার চেষ্টা করছি।’
গবেষণা ও অর্থায়নের বৈশ্বিক তথ্য তুলে ধরে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম, চলতি সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের এই ভিসা স্কিমে দুই বছরে মাত্র তিনজন আবেদন করেছে। এদের মধ্যে দুজন ২০২২ সালে এবং অপরজনকে ২০২৩ সালে ভিসা দেওয়া হয়েছে।
লন্ডন-ভিত্তিক একজন অভিবাসন আইনি পরামর্শক বলেন, যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সবচেয়ে দ্রুততম উপায়। অস্কার, গ্রামি ও নোবেল জয়ীদের জন্য যা চালু করা হলেও – সেখানে অণু-পরিমাণ আগ্রহের ঘটনা সত্যিই বিস্ময়কর।
কেন এই সুযোগ নেওয়ার আগ্রহ কম বিখ্যাতজনদের তার ব্যাখ্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্রুত সময়ে ভিসার এই সুযোগ খুবই সীমিতসংখ্যক এক বিশেষ শ্রেণির মানুষের জন্য, যাদের বেশিরভাগেরই অনন্য মেধা, দক্ষতা তো আছে, চাইলেই তারা বিশ্বের যেকোনো দেশে যাওয়ার বা কাজের সুযোগ পান। তাই এই ভিসায় আগ্রহ লোকেদের কম।
এম.কে
২০ আগস্ট ২০২৩