সিলেটের ওসমানীনগরে বন্ধ কক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের দিনই মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল বাবা-ছেলেকে। এ ঘটনার ১১ দিন পর সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)।
শনিবার (৬ আগস্ট) ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান।
গত ২৬ জুলাই ওসামানীনগরের তাজপুর এলাকার একটি বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় ৫ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে মারা যান রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুল ইসলাম। তখন রফিকুলের ১৯ বছর বয়সী মেয়ে সামিরা ইসলাম ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ ঘটনায় ২৮ জুলাই রাতে রফিকুলের শ্যালক দিলোয়ার আহমদ বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। তবে ঘটনার ১১ দিনেও এসব মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ সুপার ফরিদ বলেন, ইতোমধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষা ও কেমিক্যাল অ্যানালাইসিসের জন্য ভিসেরা স্যাম্পল চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এদিকে রফিকুলের স্ত্রী হুসনে আরা ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম সুস্থ রয়েছেন। তারা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:
সিলেটে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ৫ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, ২ জনের মৃত্যু
সিলেটের সেই যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবা-ছেলের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু: পুলিশ
৬ আগস্ট ২০২২
নিউজ ডেস্ক