ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘গাজা থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সাহায্য করতে যুক্তরাজ্য যদি প্রস্তুত থাকে, তবে স্কটল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে আহত গাজার শরণার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
মন্ত্রী হামজা ইউসুফের শ্যালক গাজায় চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। তার উদ্ধৃতি দিয়ে হামজা ইউসুফ বলেন, ‘আমার শ্যালক গাজায় ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড দেখছেন। তিনি আমাকে টেলিফোনে বলেছেন, গাজায় পর্যাপ্ত হাসপাতাল নেই, চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, ডাক্তার নেই, নার্স নেই। সেখানে আহতদের সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য সরকারকে গাজার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন হামজা ইউসুফ। তিনি বলেন, স্কটল্যান্ড এ ব্যাপারে প্রস্তুত।
হামজা ইউসুফ বলেন, ‘আমার শ্বশুড়–শাশুড়ি গাজায় আটকা পড়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, সবার জীবন সমান। একজন ইসরায়েলির জীবনের যেমন মুল্য রয়েছে, তেমনি একজন ফিলিস্তিনির জীবনেরও মূল্য রয়েছে। হামাসের কর্মকাণ্ড অবশ্যই নিন্দনীয়। ইসরায়েলি জিম্মিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু গাজায় যেভাবে নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, তা কোনওভাবেই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।’
হামজা ইউসুফ যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গাজায় অবিলম্বে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করুন। হামাসের কর্মকাণ্ডের খেসারত ২২ লাখ নিরপরাধ মানুষ দিতে পারে না। স্কটল্যান্ড গাজায় আটকে পড়াদের আশ্রয়দানকারী যুক্তরাজ্যের প্রথম দেশ হতে ইচ্ছুক।’
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন। তারা গাজা শরণার্থীদের স্কটল্যান্ডে ঢুকতে দিতে চান না।
উল্লেখ্য এ, গতকাল মঙ্গলবার গাজার আল-আহলি আরব নামের একটি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৫০০ মানুষকে মেরে ফেলে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হাসপাতালটিতে কয়েকশ আহত ও অসুস্থ মানুষ ছিলেন। এ ছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষও এখানে ছিলেন।
ইসরায়েল–হামাস সংঘাতে নিহত বেড়ে ৪ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজারই ফিলিস্তিনি। গাজা থেকে অন্যত্র সরে গেছেন লাখো বাসিন্দা।
এম.কে
১৮ অক্টোবর ২০২৩