12.4 C
London
April 26, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

অস্ট্রেলিয়ার মতো অফশোর আশ্রয়কেন্দ্র যুক্তরাজ্যের জন্য যে কারণে বিপজ্জনক

অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি আরোপের দিক থেকে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি অস্ট্রেলিয়া। নৌপথে যেসব অভিবাসী অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ২০১৩ সালের পর থেকে এদের আটক করে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে পাশের দ্বীপ নাউরু এবং পাপুয়া নিউ গিনির অধীন ম্যানাস আইল্যান্ডে।

 

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, প্রীতি প্যাটেল এই সপ্তাহে ব্রিটেনের আশ্রয় ব্যবস্থাটি পুনর্বিবেচনা প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আইনী পরিবর্তনসহ সরকার আটলান্টিক মহাসাগরের যুক্তরাজ্যের অ্যাসেনশন দ্বীপকে অফশোর প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যাবহারের কথা ভাবছে। সম্ভবত স্কটল্যান্ডে ব্রিটিশ উপকূলের অন্যান্য দ্বীপগুলো নিয়েও ভাবছে সরকার।

 

বিশেষজ্ঞরা সাবধান করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে অনুকরণ করার জন্য হোম অফিসের প্রস্তাবনাটি মানবাধিকার বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এছাড়া এভাবে নৌকায় করে অভিবাসন ঠেকানো যাবে না বলেও মনে করছেন তারা।

 

নৌপথে অবৈধ উপায়ে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার কথা ভেবেই অস্ট্রেলিয়া সরকার ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই উদ্যোগ নেয়। তখনকার প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড ঘোষণা দিয়েছিলেন, ভিসা ছাড়া কেউ নৌপথে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে আশ্রয় চাইলে কখনোই পাবেন না।

 

ম্যানাস ও নাউরু দ্বীপপুঞ্জের অস্ট্রেলিয়ার আশ্রয় প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপকভাবে নিন্দিত হয়েছে। অফশোর নীতিমালার ফলে প্রায় আড়াইশো লোক সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ায় আটক রয়েছেন।

 

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রসিকিউটর বলেছেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য অভিবাসীদের আটকে রাখা খুবি নিষ্ঠুর এবং অমানবিক। এছাড়া এটি আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধ।

 

ম্যানাস দ্বীপে অস্ট্রেলিয়া অফশোর আটক কেন্দ্রে রক্ষীদের হাতে হত্যা, চিকিত্সায় অবহেলা ও আত্মহত্যায় কমপক্ষে ১২ জন মারা গেছে।

 

২০১৬ সালে, সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান নাউরুতে আটকে রাখা বিদেশিদের উপরে করা যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

 

সেখানে কাজ করা মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, খুবই বিষাক্ত পরিবেশে রয়েছেন সেখানকার মানুষ। তাদের উপরে করা অত্যাচারের বর্ণনাও দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

 

নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ সহযোগী ম্যাডলিন গ্লিসন, ২০২০ সালের নভেম্বরে ইউকে হাউস অফ কমন্স কমিটির সামনে প্রমাণ দিয়েছেন, যে কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো তা কাজ করেনি।

 

অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রথম ১২ মাসেই ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছায়।

 

 

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
২২ মার্চ ২০২১
এসএফ

আরো পড়ুন

দাতব্য সংস্থার সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর

উইলিয়াম-কেটের ক্যারিবিয়ান ট্যুর প্রশ্নবিদ্ধ!

টিকাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে ওমিক্রনে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়

অনলাইন ডেস্ক