10.5 C
London
April 19, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন ঝুলে থাকা নিয়ে যুক্তরাজ্য সংসদে বিতর্ক

কনজারভেটিভ সরকারের সময়ে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন ঝুলে রয়েছে বলেছে সংসদে বিষোদগার করেছেন লেবার সাংসদেরা। বৃটিশ গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য প্রকাশ পায়।
যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান সংস্থা ওয়াচডগ তাদের পরিসংখ্যানে জানায়, ঋষি সুনাক আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা নিয়ে সংসদকে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী সংসদকে বলেন আশ্রয়প্রার্থীর ব্যাকলগ অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে কম।
যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান স্যার রবার্ট চোটে সরকারকে বলেছেন, আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা নিয়ে মন্ত্রীরা যে পরিসংখ্যান ব্যবহার করছেন তা সরকারী পরিসংখ্যানে কখনও “প্রতিফলিত হবে না”।
প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বরে হাউস অফ কমন্সকে বলেছিলেন লেবার সরকারের চেয়ে বর্তমান সরকারের সময়ে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা অর্ধেকের চেয়েও কম।
ইমিগ্রেশন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সুর মিলিয়ে একই দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী সুনাক লেবার পার্টির সাংসদ অ্যালিসন ম্যাকগোভারের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য সংসদে পেশ করেন। সংসদে লেবার পার্টির সাংসদ দাবি করেছিলেন তার দলটি ক্ষমতা ছাড়ার সময়ের চেয়ে বর্তমানে ১৪ গুণ বড় ব্যাকলগ।
প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টির সাংসদ অ্যালিসন ম্যাকগোভারকে তার পরিসংখ্যানের তথ্যগুলো সঠিক করার দিকে মনোনিবেশ করতে বলেন। তবে ছায়া ইমিগ্রেশন মন্ত্রী স্টিফেন কিনোকের অনুরোধের পরে যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করবে বলে জানায়।
মিঃ কিনোকের চিঠির জবাবে স্যার রবার্ট বলেছেন, “হোম অফিসের পরিসংখ্যান আর সংসদে দেওয়া তথ্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমি সরকারী পরিসংখ্যান এবং ডেটা ব্যবহারের জন্য যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের অফিসগুলির সাথে জড়িত।”
আশ্রয়প্রার্থীদের অ্যাপ্লিকেশনগুলি সমাধান করতে বর্তমান সরকার যে পরিমাণ সময় নিচ্ছে তার জন্য সংসদে হোম অফিসের সমালোচনা করা হয়েছে।
অফিসিয়াল পরিসংখ্যান দেখায় যে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সিস্টেমে ১,৬৬,২৬১টি আশ্রয়প্রার্থীর অ্যাপ্লিকেশন এখনও ঝুলে আছে। এটি ২০১০ সালের জুনে যখন লেবার সরকার ছিল তারচেয়ে প্রায় আটগুণ বেশি।
যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান সংস্থা ওয়াচডগ নিশ্চিত করেছে যে ২০১০ সালে আশ্রয় দাবির চেয়ে বর্তমান সংখ্যা আট গুণ বেশি। দেড় লাখেরও বেশি আআশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে যা হাস্যকর।
বৃটিশ সংবাদমাধ্যমের পক্ষ হতে এই ব্যাপারে হোম অফিসের মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও হোম অফিস এই ব্যাপারে মতামত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে।

আরো পড়ুন

একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী এমাদ মোস্তাক

ভারতে যেতে ভয় পাচ্ছেন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কেবিন ক্রুরা

হোম অফিসের ভুলে ব্রিটেনের অভিবাসীদের বন্দি জীবন!

নিউজ ডেস্ক