13.8 C
London
May 5, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর

জার্মানিতে লক্ষাধিক শিশু পাচ্ছে না ডে-কেয়ার

সম্প্রতি পার্লামেন্টে শিশুদের ডে-কেয়ার নিয়ে একটি প্রশ্ন উঠেছিল। তার জবাব দিতে গিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে জার্মান সরকার। দেশটিতে এক বছরের বেশি যে কোনো শিশুর ডে-কেয়ার পাওয়া অধিকার রাখে।

কিন্তু ফান্ডের অভাবে অন্তত তিন লাখ ৭৮ হাজার ডে-কেয়ার স্পট ২০২১ সালে খালি ছিল বলে জানিয়েছে সরকার। বস্তুত, পার্লামেন্টে বিরোধী বামপন্থিদের একটি প্রশ্নের উত্তরে সরকার এই তথ্য দিতে বাধ্য হয়েছে। রোববার জার্মানের বামপন্থিরা সেই তথ্য গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করে।

পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি করেছিলেন বামপন্থি মুখপাত্র। তার অভিযোগ ছিল, বিষয়টি নিয়ে সরকার বিশেষ ভাবিত নয়। অভিযোগ, একটি বড় অংশের শিশু ডে-কেয়ারের অভাবে প্রথামিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এক বছর হয়ে গেলেই জার্মানিতে শিশুদের ডে-কেয়ারে পাঠানো যায়।

 

 

 

 

এটিকে অধিকার হিসেবে ধরা হয়। ফেডারেল সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, স্থানীয় মিউনিসিপ্যালিটি ও রাজ্যগুলোকে এ বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে। কিন্তু বামপন্থিদের দাবি, এটা বলে ফেডারেল সরকার নিজেদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

তারা অর্থ না দিলে স্থানীয় সরকারের পক্ষে ডে-কেয়ার বাড়ানো সম্ভব নয়। ফেডারেল সরকার জানিয়েছে, তারা ডে-কেয়ারের জন্য দুই দশমিক আট বিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে। বামপন্থিদের দাবি, দেশজুড়ে সমস্ত ডেয়াকেয়ার স্পট পূরণ করার জন্য অন্তত ৫০ বিলিয়ন ইউরো প্রয়োজন।

বামপন্থিদের অভিযোগ, সরকারের তথ্য থেকেই স্পষ্ট, ডে-কেয়ারের জন্য সরকার প্রয়োজনের তুলনায় বহু গুণ কম খরচ করে। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ না দিলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে ডে-কেয়ারের উন্নতি করা সম্ভব নয়।

দেশের পশ্চিম অংশে ডে-কেয়ার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। পূর্ব অংশে পরিস্থিতি মন্দের ভালো। জার্মান সরকারই সম্প্রতি জানিয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই লাখ ৪৪ হাজার থেকে তিন লাখ ১০ হাজার শিশুর জন্য ডে-কেয়ারের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু বামপন্থিদের অভিযোগ, সরকারের হিসেব থেকেই স্পষ্ট, এখনই সব শিশুকে ডে-কেয়ার দেওয়া যাচ্ছে না।

 

আরো পড়ুন

বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস দেশ মিয়ানমার, বাংলাদেশ ২২তম

একটি সন্তান নিলেই মিলবে ৮২ লাখ টাকা

যুক্তরাজ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সব ধরনের সম্পর্ক তৈরি নিষিদ্ধ