9.6 C
London
April 24, 2024
TV3 BANGLA
আমেরিকাশীর্ষ খবর

মার্কিন টেক জায়ান্টদের আধিপত্য কমাতে ফেডারেল ট্রেড কমিশনের নতুন প্রধান লিনা খান

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কঠোর সমালোচক লিনা খানের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

 

মঙ্গলবার (১৫ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা।

 

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আইনের সহযোগী অধ্যাপক লিনা। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্ম হলেও তার মা-বাবা পাকিস্তানি। লিনার বয়স যখন ১১, তখন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তারা।

 

ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) কাজ মূলত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য কমিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানো। সে সঙ্গে গ্রাহকের অধিকার রক্ষার দায়িত্বও কমিশনটির।

 

ই-কমার্স সেবাদাতা আমাজনের বড় সমালোচক হিসেবে পরিচিত লিনা খান। অসম প্রতিযোগিতা হ্রাসের জন্য কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরেই। এ–বিষয়ক আইনগুলোতে পরিবর্তনের জন্যও সোচ্চার তিনি।

 

ধারণা করা হচ্ছে, অ্যাপল, আমাজন, গুগল, ফেসবুকের মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতেই লিনা খানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন সিনেটে ৬৯-২৮ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি।

 

ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়াশোনার সময় পরিচিতি পান লিনা খান। সে সময় আধুনিক অ্যান্টিট্রাস্ট আইনগুলো ই-কমার্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আমাজনের আসল ক্ষমতা নির্ণয়ে কী কারণে ব্যর্থ, তা নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সে গবেষণাপত্র খবরের শিরোনাম যেমন হয়েছিল, তেমনই নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিও কেড়েছিল।

 

চুপচাপ স্বভাবের লিনা খান বরাবরই পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করে গেছেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রায় ১৬ মাসের তদন্তে মার্কিন কংগ্রেসের হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির হয়ে কাজ করেছেন। এফটিসির কমিশনার রোহিত চোপড়ার উপদেষ্টার ভূমিকাতেও দেখা গেছে তাকে। গত বছর তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

 

ফেডারেল ট্রেড কমিশনে মোটে পাঁচ কমিশনার। লিনা খানসহ তাদের তিনজন ডেমোক্র্যাট। তারা সবাই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কঠোর আইন প্রবর্তনের পক্ষে।

 

১৬ জুন ২০২১
নিউজ ডেস্ক

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের লাল তালিকায় আরো তিন আরব রাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক

রাশিয়ার হুমকিতে পিছু হটল যুক্তরাজ্য

হিজাব পরে হোয়াইট হাউজের প্রেস ব্রিফিংয়ে ইতিহাস গড়লেন এই নারী