আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানের সব আরোহীই মারা গেছেন। তাদের মৃতদেহ পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবমেরিনটির ভেতর আটকে পড়া পাঁচজনের মৃতদেহ পানির নিচের ঠান্ডা তাপমাত্রা ও চাপযুক্ত জাহাজে অক্সিজেনের অভাবে ‘মমিতে’ পরিণত হতে পারে।
ওয়েস্টার্ন ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানের পরিচালক নিকোলাস পাসলাকোয়া অনুমান করেন, টাইটান জাহাজে পাঁচজন যাত্রী মারা গেলে তাদের মৃতদেহ ডুবোজাহাজের ভেতর সংরক্ষিত থাকবে।
পাসলাকোয়া বলেন, ‘সাধারণত অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে মৃতদেহ খুব বেশি পচবে না। কারণ টিস্যুগুলোকে গ্রাস করতে ও পচাতে সক্ষম মাইক্রো এবং ম্যাক্রো জীব সাবমেরিনের ভেতর বেঁচে থাকতে অক্ষম হবে।’
কলোরাডো মেসা ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন রিসার্চ স্টেশনের পরিচালক মেলিসা কনরস মৃতদেহ মমি হয়ে যাওয়ার ধারণার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, সাবমেরিনের হিটিং সিস্টেমটি যদি কাজ না করে তাহলে আটলান্টিকের ঠান্ডা তাপমাত্রা মৃতদেহগুলোকে শুকিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
লাশের সন্ধান অব্যাহত থাকবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মার্কিন কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার। কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা জানান, টাইটানিকের চার পাশে সমুদ্রের তলায় চলাচলকারী রিমোট অপারেটিং ভেহিকল ঘটনাস্থলেই থাকবে।
এম.কে
২৫ জুন ২০২৩