13.3 C
London
May 6, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

যুক্তরাজ্যের ইলফোর্ড হতে পরিচালনা হতো মানবপাচারের গ্যাং

৩০ বছর বয়সী হেওয়া রহিমপুর, ২০১৬ সালে ইরাক হতে প্রথম যুক্তরাজ্যে আসেন। তিনি ছিলেন জাতিগতভাবে একজন কুর্দি। যুক্তরাজ্যে আসার পর তিনি এসাইলাম আবেদন করেন বলে খবরে জানা যায়। বর্তমানে রহিমপুর পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ডে বসবাস করেন। তাকে দেখে বা তার জীবনযাপনের পদ্ধতি দেখে কারো বোঝার উপায় নাই যে তিনি একজন কুখ্যাত চোরাচালানকারী। ইতিমধ্যে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষকে তিনি ইংলিশ চ্যানেল ছোট নৌকায় পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করিয়েছেন বলে খবরে জানা যায়।

ইলফোর্ডে স্থানীয়ভাবে রহিমপুর খুবই ভালো মানুষ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। তার বাড়িওয়ালা লিন্ডা রহিমপুর সম্পর্কে বলেন, রহিমপুর খুবই ভালো ছেলে। আশেপাশের সকলেই তাকে খুব পছন্দ করে।

খবরে জানা যায়, ২০২০ সালে রহিমপুর দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে একটি নাপিতের দোকান খোলেন। তার এক বন্ধু জানান, তার চোরাকারবারি ব্যবসা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। সে সবসময় তার পরিবারের কথা আমাদের সাথে আলাপ করত।

এখন আমরা জানি রহিমপুরের চোরাকারবারি ব্যবসা ছিল এবং মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলাই ছিল তার কাজ। সে মানবজীবন নিয়ে নিষ্ঠুর অবহেলা করেছে। রহিমপুর ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে এরবিল থেকে এসেছিল যেখানে সে বহু ব্যয়বহুল সম্পত্তির মালিক বলে জানতে পেরেছি।

ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি জানায়, রহিমপুরের কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স ছিল না এবং নিজে লরিতে করেই ইউকেতে প্রবেশ করে। এনসিএর সিনিয়র তদন্তকারী কর্মকর্তা কেট ফিলপটস বলেন মানুষ পাচার করে বহু টাকা উপার্জন সম্ভব সেটা রহিমপুর ইউকেতে প্রবেশের পরেই ধারনা করে নিয়েছিল। সে বিলাসবহুল জীবনযাপন করত, ওয়ানস্টেড পার্ক হতে প্রথম যখন গ্রেফতার হয় তখন সে একটি বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় ব্যস্ত ছিল। তার সাথে ছিল বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। তাই তার জীবনযাপন দেখে আমি মনে করি সে এই চক্রের একজন মুল পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্ব দানকারী। ইলফোর্ডে তার ফ্ল্যাট থেকেই সে গ্যাংটি পরিচালনা করত।

খবরে জানা যায়, তার ফোনের রেকর্ডগুলি দেখায় যে তিনি ইউরোপ জুড়ে ছোট নৌকাগুলির সোর্সিংয়ের সাথে জড়িত ছিলেন। তাছাড়া তিনি ফোন ব্যবহার করে অন্যান্য গ্যাং সদস্যদের নৌকা এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলি ফরাসি উপকূলে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এমন প্রমাণও পাওয়া যায়। ২০২১ সালের অক্টোবরে বেলজিয়ামের ফ্রেঞ্চ সীমান্তের কাছে একটি গাড়ির পিছনে বেশ কয়েকটি ইনফ্ল্যাটেবল নৌকা এবং আউটবোর্ড মোটর খুঁজে পাওয়া গেলে যুক্তরাজ্য বর্ডার কর্তৃপক্ষকে রহিমপুরের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল।

রহিমপুরের ফোন বার্তাগুলি দেখায়, সীমান্ত হতে লরি ড্রাইভাররা একটি যুক্তরাজ্যের ফোন নম্বরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছিল যেটা রহিমপুরের বলে সনাক্ত করা হয়।

এনসিএর তদন্ত বিভাগের উপপরিচালক ক্রেগ টার্নার বলেন, “রহিমপুর একটি ব্যবসায়িক মডেল পরিচালনা করেছিলেন যেখানে মানুষকে লাভজনক পণ্য হিসাবে গণ্য করা হয়। এটাকে যুক্তরাজ্যের আইনে একটি নিকৃষ্ট অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।”

এম.কে
১৯ অক্টোবর ২০২৩

আরো পড়ুন

খুব শিগগিরই ব্যাংকের যেসব শাখা বন্ধ হতে যাচ্ছে

বন্ধ হচ্ছে বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার

দাদার বিদায়ে রাজপরিবারের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি

অনলাইন ডেস্ক