3.8 C
London
April 20, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

যুক্তরাজ্যে আইনজীবীদের উপর আসছে কড়া নজরদারি

ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশকারী ব্যক্তি ও পাচারকারীদের সহায়তা করে বলে মনে করা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পায়।

এনসিএ, অপরাধের সাথে জড়িত সলিসিটারদের সনাক্ত করতে একটি সম্ভাব্য বিতর্কিত অপারেশন  পরিচালনা করছে বলে একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়। অপরাধে জড়িত আইনজীবীরা তাদের প্রফেশনাল কোড লঙ্ঘন করতে পারে বা সংগঠিত অপরাধে পরিষেবা সরবরাহ করে অপরাধ সংঘটিত করতে পারে বলে এনসিএ’র একজন মুখপাত্রের কথা হতে জানা যায়।

 

 

 

 

সংস্থাটি অনুমান করে যে, সলিসিটারদের একটি অংশ যেভাবে কয়েক দশক আগে আলবেনীয় অপরাধী দলগুলির সাথে সম্পর্ক রেখে আধুনিক দাসত্ব এবং আশ্রয় ব্যবস্থার অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত  হয়েছিল ঠিক একইভাবে বর্তমান সময়ে কোনো ধরনের স্ক্যামে জড়িত হতে পারে।

এনসিএর আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচার ইউনিটের প্রধান রব রিচার্ডসন বলেন, কোনো আইনজীবি অপরাধী দলকে সহায়তা করছে কিনা তা পরীক্ষা করা শুরু করেছে সংস্থাটি। সংস্থাটি বর্তমানে  “টার্গেট আইডেন্টিফিকেশন” মোডে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রিচার্ডসন ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে কিছু আইনজীবীরা অপরাধী গোষ্ঠীগুলিকে গোপনে সাহায্য করে রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পায়তারায় লিপ্ত।  এনসিএ পুরো অপরাধের প্রক্রিয়া কিভাবে কাজ করে তা জানার জন্য তদন্ত করছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

 

 

 

 

২০২৩ সালের মে মাসে প্রকাশিত সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত ৪,৭৪৬ জনকে হোমঅফিসের রিপোর্টে আধুনিক দাসত্বের সম্ভাব্য শিকার হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছরের  তুলনায় যা এক চতুর্থাংশেরও বেশি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এনসিএ জুনে বিশেষত নির্মাণ শিল্পে এই জাতীয় শোষণ মোকাবেলার জন্য একটি উদ্যোগ শুরু করবে বলে রিচার্ডসন উল্লেখ করেন।

বিশেষত নির্মাণ শিল্প এনসিএ’র সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। রিচার্ডসন বলেন অপরাধীরা কাজের সাইটে বিল্ডিং কর্মীদের সরবরাহ করে এবং শেষ পর্যন্ত সমস্ত মজুরি নিয়োগকারী সংস্থার নামে হাতিয়ে নেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা শ্রমিকদের অর্থ প্রদান করে না।

এনসিএ অ্যাসাইলাম সিস্টেম, জাতীয় রেফারাল প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক নিয়ম কিভাবে অপরাধরোধে কাজ করে তা দেখার জন্য হোম অফিসের কর্মকর্তা এবং নীতিনির্ধারকদের সাথে বিভিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাজ্য সরকার অবৈধ অভিবাসন ও অপরাধমূলক কার্যক্রম রোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সোচ্চার বলেও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়।

 

 

আরো পড়ুন

বাংলাদেশি নারীদের বিয়ে করতে পারবে না সৌদি পুরুষেরা

অবশেষে সপ্তম নাতনিকে স্বীকৃতি দিলেন বাইডেন

মোবাইল ফোনের ব্যবহার: প্রয়োজন নাকি আসক্তি?

অনলাইন ডেস্ক