4 C
London
April 25, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে নতুন ভবিষ্যত গড়তে মরিয়া তরুণ আলবেনিয়রা

বৃটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায় আলবেনিয়া হতে নিজেদের সুন্দর ভবিষ্যতের খোঁজে প্রচুর আলবেনিয়ান যুবক ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করছে।

মনিকা মুলাইয় নামের একজন আলবেনিয়ান মহিলা বৃটিশ সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, তার ছেলে আলবেনিয়ার একটি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন৷ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তারপরই নাটকীয় এক সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি৷ পরিবারকে জানালেন ঘর ছেড়ে ব্রিটেনে নতুন ভবিষ্যত গড়তে চান৷

মনিকা মুলাইয়ের ছেলে পাঁচ বছর পর এখন বৃটেনে স্থায়ী হয়েছেন বলে তিনি জানান। তার সন্তান এখন ব্রিটেনে দুটি কাজ করছেন এবং আলবেনিয়াতে ফেরার চিন্তা আর করছেন না৷

মনিকা মুলাইয় বলেন, তার ছেলের মতো আরো হাজার হাজার তরুণ আলবেনীয় ছোট্ট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন কাজের খোঁজে৷ আলবেনিয়ার দুর্বল অর্থনীতি তাদেরকে এই কাজে উৎসাহ যুগিয়েছে৷

 

 

 

 

 

 

 

 

খবরে জানা যায়, ২০১৮ সালে অনিয়মিত পথে মাত্র কয়েকশত লোক আলবেনিয়ান ছোট্ট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন৷ ২০২২ সালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার আলোচনায় থাকা আলবেনিয়ার অনেক নাগরিক এসব যাত্রায় ছিলেন৷

অন্যান্য অভিবাসীরা এসেছেন আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক এবং সিরিয়ার মতো দেশগুলো থেকে৷ ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের বিবেচনায় আলবেনিয়া একটি নিরাপদ রাষ্ট্র৷ ফলে সেদেশের নাগরিকদের ব্রিটেনে আশ্রয় পাওয়ার অধিকার সীমিত৷

আলবেনীয়দের কাছে নিজেদের প্রতিবেশি দেশ গ্রিস বা ইটালির চেয়েও ব্রিটেন বেশি লোভনীয় কারণ সেখানকার অর্থনীতি উন্নত এবং বেতনও বেশি পাওয়া যায়৷ অনেক আলবেনিয়দের পরিবারের সদস্যরা আবার ব্রিটেনে থাকেন৷ বিশেষ করে বার্মিংহামে অনেক আলবেনিয় থাকেন৷

তবে ব্রিটেনে পৌঁছানো সহজ ব্যাপার নয়৷ অল্প কিছু আলবেনিয় বৈধপথে ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে পারেন৷ কিন্তু বেশিরভাগই সাধারণত দালালদের পাঁচ থেকে ২০ হাজার ইউরো অবধি দিয়ে বিপজ্জনক অনিয়মিত পথে দেশটিতে যেতে চান৷

আলবেনিয়দের এই ব্রিটেনমুখী যাত্রা নিয়ে দুই দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে৷

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান গত নভেম্বর জানান যে আলবেনিয় আগমনের হার ব্যাপক আকারে বেড়েছে এবং তারা অবিবাহিত ও বয়সে তরুণ৷ এসব তরুণরা বিভিন্ন সংগঠিত অপরাধী চক্রের সদস্য বা মাদকসংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

ব্র্যাভারম্যান এমন দাবিও করেছেন যে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূল আক্রমণ করেছেন আশ্রয়প্রার্থীরা৷ যেখানে অনেক আলবেনিয়ান ছিল। তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন অনেকে৷

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাবে আলবেনিয়ান প্রধানমন্ত্রী এডি রামা বলেন, ব্রিটেন নিজের অভিবাসন নীতির ব্যর্থতা ঢাকতে আলবেনিয়দের ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে। তিনি ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এধরনের দায় দেয়াকে ‘‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’’ কাজ এবং ‘‘সহজ বাগাড়ম্বরপূর্ণ উক্তি’’ বলে আখ্যা দিয়েছেন৷

 

আরো পড়ুন

রানির মৃত্যুর পর যেসব পরিবর্তন আসবে যুক্তরাজ্যে

ক্রিসমাসের আগে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে টেসকো

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে ফের সংক্রমণ বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক